বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী থার্মোমিটার দিয়ে আইফোনের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ভিডিও পোস্ট করেছেন। এক পোস্টে বলা হয়, আইফোন-১৫ প্রো ম্যাক্স সত্যিই খুব সহজে গরম হয়ে যায়। আরেকটি পোস্টে বলা হয়, আমি শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাউজিং করছি এবং মোবাইলটি জ্বলছে। আরেকজন জানান, তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি এত গরম হয়েছে যে কাভারে রাখা অবস্থায়ও তা বোঝা যায়।
এক ব্যবহারকারী জানান, ফোন কলে কথা বলার সময় তার আইফোনটি সুইচড অফ হয়ে যায় এবং কয়েক মিনিট পর পুনরায় চালু হয়। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের যেকোনো ডিভাইসই অতিরিক্ত গরম হলে কিংবা খুব বেশিক্ষণ সূর্যের সংস্পর্শে থাকলে মাঝেমাঝে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর লক্ষ্যে আইফোন-১৫ সিরিজে এ১৭ বায়োনিক চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিন ন্যানোমিটারের অত্যাধুনিক প্রসেসর চিপটির কারণেই হ্যান্ডসেটগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। তবে এ১৭ বায়োনিক চিপসেটের নির্মাণকারী তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি তা নাকচ করে দিয়েছে।
অ্যাপলের টেকনিক্যাল সাপোর্টের কর্মীদের কাছেও আইফোন-১৫ সিরিজ নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। পুরোনো একটি নিবন্ধের মাধ্যমে তারা এখন আইফোনের ওভারহিটের সমস্যা কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তা গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কিছু ভারি অ্যাপ ব্যবহার করার সময়, চার্জ দেওয়ার সময় অথবা প্রথমবারের মতো কোনো নতুন ডিভাইস সেট আপ করার সময় আইফোন অতিরিক্ত গরম হতে পারে।
আইফোনের অতিরিক্ত উত্তপ্ত হওয়ার বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কুও বলেন, "এর প্রাথমিক কারণ হলো তাপ ব্যবস্থার নকশায় হালকা ওজন অর্জনের জন্য আপস করা। যেমন, তাপ শোষণের ক্ষেত্র কমানো এবং টাইটানিয়াম ফ্রেমের ব্যবহার, যা তাপ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।”
কুও আরও বলেন, “সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে অ্যাপল এ সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অ্যাপল যদি প্রসেসরের কার্যকারিতা না কমায়, তাহলে এ সমস্যার যথাযথ সমাধান না আসার আশঙ্কা রয়েছে। যদি এ সমস্যাটির সমাধান অ্যাপল সঠিকভাবে না করে, তাহলে এটি আইফোন-১৫ প্রো সিরিজের ডিভাইসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”